আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাত।আমি একজন স্টুডেন্ট।আমি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম হতে চাচ্ছি।আমি মাঝে মাঝে কুরআন তিলাওয়াত করি। এবং তিলাওয়াত শেষে এই গুলো পড়ি:
সাদাকাল্লাহুল আলিউল আযীম, ওয়া সাদাকা নাবিয়্যুহুল হাবিবুল ক্বারিম।ওয়া নাহনু আ’লা জা’লিকা মিনাশ শাহিদিনা ওয়াশ শাক্বিরিন। ওয়ালহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।রব্বি সাল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বারিকা আলাইহি।
এখন এগুলো কি পড়া কি জায়েয আছে?একটু কুরআন, হাদিস এবং ফিকাহ অনুসারে জানাবেন। এবং অবশ্যই কুরআন এর আয়াত, হাদিসের কিতাব,সনদ ইত্যাদি সহ বলবেন।জাযাকাল্লাহু খাইর।
Ending of recitation of holy quran
Share
কুরআনের একটি আয়াতে এসেছে:
قُلْ صَدَقَ اللَّهُ
“বলুন: আল্লাহ সত্য বলেছেন।”
— সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৯৫
এই আয়াতটি প্রসঙ্গভিত্তিক (specific context), ইহুদী-নাসারাদের সাথে আলাপচারিতায় এসেছে। এটি কুরআন তিলাওয়াত শেষে “সাদাকাল্লাহুল আযীম” বলার প্রমাণ নয়।
শাইখ ইবনে বায (রহ.), শাইখ উসাইমিন (রহ.), ও শাইখ সালেহ আল-ফাওজান (হাফিযাহুল্লাহ) সহ বহু সালাফি আলেম বলেন:❝রাসূল ﷺ ও সাহাবারা কখনো কুরআন পড়ে “সাদাকাল্লাহুল আযীম” বলেননি। তাই নিয়ম করে বলা হলে এটি বিদআত হবে।❞
— IslamQA fatwa #2209
আল-আজহার এবং মিশরের দারুল ইফতা বলেন:
❝যেহেতু এটি আল্লাহর সত্যবাণীর স্বীকৃতি, কেউ যদি ইবাদতের অংশ মনে না করে সাধারণ যিকির হিসেবে বলেন, তাহলে তা নিষিদ্ধ নয়।❞
অন্য বাক্যগুলো যেমন:
ওয়া সাদাকা নাবিয়্যুহুল হাবিবুল কারীম
ওয়া নাহনু আলা যালিকা মিনাশ শাহিদীন…
ওয়ালহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন
রব্বি সাল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বারিক আলাইহি
→ এই সব বাক্য অর্থে ভালো হলেও নবী ﷺ বা সাহাবারা কুরআন তিলাওয়াত শেষে এগুলো বলেননি, তাই নিয়ম করে পড়লে তা বিদআতের শামিল হতে পারে।
“সাদাকাল্লাহুল আযীম” বলা নিষিদ্ধ নয়, তবে নিয়ম করে বলা উচিত নয়।
অন্য বাক্যগুলো শুধু কখনো কখনো ইচ্ছাকৃত যিকির হিসেবে বলা জায়েয, যদি কেউ ইবাদতের অংশ মনে না করে।
ইসলামের সৌন্দর্য হলো: যেটা রাসূল ﷺ শিখিয়েছেন, সেটার উপর টিকে থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ।